বাউফলে এক শিক্ষকের দুই বিদ্যালয় যোগদান

বাউফলে এক শিক্ষকের দুই বিদ্যালয় যোগদান

মোঃ দেলোয়ার হোসেন,বাউফল , পটুয়াখালীর বাউফলে সদ্য পদায়নকুত প্রাথমিত বিদ্যালয়ে যোগদানের ৫দিন পর এনামুল হক নামের এক সহকারি শিক্ষক একই আদেশে দুই বিদ্যালয় যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়টি নিয়ে এলাকার জনসাধরণ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার (চ: দা:) এর স্বাক্ষরিক এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপজেলা ভিত্তিক পদায়নকৃত সহকারি শিক্ষকদের যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে একটি তালিকা বাউফল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় পাঠানো হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী পদায়নকৃত এনামুল হক নামের এক শিক্ষক উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৮১ নং দক্ষিন শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জানুয়ারি যোগদান করেন এবং ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। কিন্ত অদৃশ্য কারনে পদায়নকৃত এনামুল হক নামের শিক্ষক ৫ দিনের মাথায়  নীজ ইউনিয়ন নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০ জানুয়ারি যোগদান করেন।
 দক্ষিন শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম জাহান লাইজু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সহকারি শিক্ষক এনামুল হক ২৪ জানুয়ারি বিদ্যালয় যোগদান করে তিন দিন ক্লাশ করে বিদ্যালয় না আসায় এনামুলের কাছে মোবাইলে কথা বললে তখন জানতে পারেন সে অন্য বিদ্যালয় যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার অলিউল ইসলামকে জানান। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
 দক্ষিন শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মনজরু আলম বলেন, দক্ষিন শৌলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬জন শিক্ষক থাকার কথা ছিল কিন্ত কয়েক বছর যাবত ৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দিয়ে আসছে। ২ জন পদায়নকৃত শিক্ষক পেয়ে এলাকার জনগন খুবই খুশী হয়েছে। সদ্য যোগদানকৃত শিক্ষক এনামুল হক একই আদেশে কি ভাবে অন্য বিদ্যালয় যোগদান করে। এটা জালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিজের একক ক্ষমতা বলে যোগদানের আদেশ সংশোধন করে বদলি করতে পারেন। এখানে তাদের কোন হাত নেই ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলতে পারবেন। আমি  এই উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার এ বিষয় বলেন,একই তারিখ দিয়ে চিঠি সংশোধন করে শিক্ষক এনামুলকে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করতে বলা হয়েছে। হয়তো চিঠি পেতে দেরি হয়েছে বিধায় ওই শিক্ষক ৮১ নং দক্ষিন শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেছেন।